প্রসঙ্গ কথাবাবা মায়েরা সন্তানের সঙ্গে যৌনতা নিয়ে কথা বলাটাকে খুবই অস্বস্তিকর মনে করেন। ফলে সন্তানকে...
প্রসঙ্গ কথাবাবা মায়েরা সন্তানের সঙ্গে যৌনতা নিয়ে কথা বলাটাকে খুবই অস্বস্তিকর মনে করেন। ফলে সন্তানকে যৌন শিক্ষা দেননা অধিকাংশ বাবা-মায়েরাই। কিন্তু সন্তানের সুন্দর এবং নিরাপদ ভবিষ্যতের জন্যই যৌনতার মত একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে সন্তানের সামনে তুলে ধরা উচিত। কিন্তু কিভাবে?সন্তানের বড় হওয়ার প্রতিটি ধাপে তাকে যৌন শিক্ষা দেয়া উচিত। একদম ছোট বেলায় তাকে শেখানো উচিত শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের নাম। কোন অঙ্গগুলো একান্তই ব্যক্তিগত এবং এগুলো কাউকে স্পর্শ করতে দেয়া যাবেনা সেটাও শিখিয়ে দেয়া জরুরী। তাদেরকে অবশ্যই শেখাতে হবে যে এই অঙ্গগুলো স্পর্শ করার অধিকার কারও নেই।ছোট শিশুরা স্বভাবতই কৌতূহলী হয়। তাই অনেক সময় ছোট শিশুদের মনে কৌতূহল জাগে যে কিভাবে সন্তান জন্ম নেয় সেই প্রসঙ্গে। এই প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে না গিয়ে সুন্দর করে তাকে বুঝিয়ে বলুন। কোনো ভুল ধারণা দেয়া উচিত নয় সন্তানকে। এক্ষেত্রে অনেক বাবা-মায়েরাই অস্বস্তি বোধ করেন। তাকে বুঝাতে পারেন যে নারী এবং পুরুষ বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়। এরপর তাদের ভালোবাসার ফসল হিসেবে জন্ম নেয় সন্তান। কম বয়সী শিশুকে এর চাইতে বেশি না বোঝালেও চলবে। এই উত্তরেই সন্তুষ্ট থাকবে আপনার সন্তান।যৌন নিপীড়ন কিংবা ধর্ষণ এড়াতে সন্তানকে শিখিয়ে দিন যে আপত্তিকর যে কোনো পরিস্থিতির কথা ভয় পেয়ে লুকিয়ে না রেখে বাবা কিংবা মা-কে জানাতে। এমনকি এটাও জানিয়ে দিতে হবে যে সেই স্পর্শে যে সন্তান যদি কোনো ধরণের ব্যথা নাও পায়, তাও অভিভাবককে জানিয়ে দিতে হবে সাথে সাথেই।সন্তান যখন কৈশোরে পদার্পণ করবে, তখন তার অনেক রকম শারীরিক পরিবর্তন হবে। বয়ঃসন্ধিকালের এসব পরিবর্তনের কথা আপনাকেই জানিয়ে দিতে হবে। এছাড়াও তাদেরকে জানাতে হবে শারীরিক ঘনিষ্ঠতার ব্যাপারে এবং গর্ভধারণের সম্ভাবনার ব্যাপারে। অনিয়ন্ত্রিত যৌন জীবনের নেতিবাচক দিক, অপ্রত্যাশিত গর্ভধারণ এবং গর্ভপাতের বিষয়েও শিক্ষা দিতে হবে সন্তানকে।ছোট বেলা থেকে বাড়ন্ত বয়স, এমনকি তারুণ্যেও আপনার সন্তান অজ্ঞতার কারণে ভুলে জড়াতে পারে। তাই সন্তানের নিরাপদ এবং সুস্থ জীবনের জন্য জীবনের প্রতিটি ধাপেই সন্তানকে সঠিক যৌন শিক্ষা দিন। এতে না বুঝে কিংবা আবেগের বশবর্তী হয়ে বড় কোনো ভুলে জড়িয়ে পড়বে না আপনার আদরের সন্তান।